হাসলি মোরগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া'তে প্রতি বছর শীতে মোরগ লড়াই অনুষ্টিত হয়ে থাকে। সাধারণত ব্রাহহ্মণবাড়িয়া ও ঢাকার মধ্যে লড়াই অনুষ্টিত হয়। তাছাড়াও সরাইল, সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ইত্যাদি যায়গায় ও লড়াই অনুষ্টিত হয়।
তথ্য সূত্রঃউইকিপিডিয়া
All Birds Information in Bangla. ♥♥ বাংলাতে প্রায় সব পাখির তথ্য
প্রশান্ত শৈলবগা বাংলাদেশের বিরলতম বগা। বর্তমানে শুধু দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব এশিয়াতেই পাখিটির দেখা মেলে। তবে শীত কালে এরা এদেশে সফর করতে আসে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপের শেষ প্রান্তে নুড়ি ও পাথরের সৈকতে প্যারাবন টিকে আছে বলে এখনো সেখানে এর বিচরণের উপযুক্ত পরিবেশ আছে। পর্যাপ্ত আহার পেলে এবং মানুষের হাতে নাজেহাল না হলে প্রতি শীতেই হয়তো এরা এখানে থাকবে। গত ৩০ বছরে তিনবারের বেশি দেখা যায়নি বলে এই বিরল অতিথি বাংলাদেশে ভিআইপির মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। প্রশান্ত শৈলবগা, আমাদের দেশে শীতের অনিয়মিত আগন্তুক।
বাংলাদেশে চার জাতের মুনিয়া পাওয়া যায়। এগুলো হল ধলাকোমর মুনিয়া, কালাগলা মুনিয়া, বুটিমুনিয়া, কালামাথা মুনিয়া। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বুটি মুনিয়া। তিলা মুনিয়ার মাথার থেকে লেজের আগা পর্যন্ত বাদামী। পেটের দিকে কালচে বাদামী ফোঁটা আছে। দূর থেকে দেখলে মোজাইক করা মনে হবে। ঠোঁটটি গাঢ় ধূসর। পা, আঙুল ও নখ নীলচে ধূসর।
ঘুঘু পায়রা জাতের পাখী। এদের বাগানে, মাঠে ,ঘাটে অবিরত দেখা যায়। গ্রামবাংলায় একসময় চিরপরিচিত পাখি ছিল ঘুঘু। বর্তমান সময়ে ঘুঘু হারিয়ে যেতে বসেছে। বাংলার কৃষকের মাঠের ধান ঘরে ওঠার সময় ঘুঘুর ডাকে চারদিক মুখরিত হয়ে উঠত। তখন ধানের জমিতে ঘুঘু পাখির উত্পাত কৃষকদের আনন্দ দিত। গ্রামের বড় বড় গাছে ঝোপ-জঙ্গল, খেলার মাঠ ও আনাচে-কানাচে এদের দেখা মিলত। সাধারণত জোড়ায় জোড়ায় বা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বিচরণ করত ঘুঘু পাখি।
বুলবুলি পাখির মত আকার। কিন্তু সাদা লেজটা অনেক লম্বা। পুরুষ পাখির গায়ের রঙ ধবধবে সাদা। মাথা ও ঝুঁটির রঙ গাঢ় নীল।গলার নিচ থেকে লেজের ডগা পর্যন্ত দুধের মতোই শ্বেতশুভ্র। পেটও সাদা। পাখার নিচে কালো রেখা, শেষদিকে অল্প কালো ছোপ। বুক থেকে শুরু করে গলা, মাথা তেলচকচকে কালো। মাথায় এক দর্শনীয় চূড়া। একটু বাঁকানো নীলচে রঙের তীক্ষ ঠোঁট। চোখের মণিও নীলচে, কেন্দ্রে সূক্ষ্ম সাদা বিন্দু। পা হালকা লালচে। কিন্তু স্ত্রী পাখি ও অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির গায়ের রঙ বাদামী। স্ত্রী পাখির লম্বা লেজ নেই। দুধরাজের বিশেষ বৈশিষ্ট্য এর লেজের এই দুটি শুভ্র পালক। ঠোঁট থেকে সাধারণ লেজ পর্যন্ত এর মাপ প্রায় ১৯ থেকে ২১ সেন্টিমিটার। আর লেজের শেষ প্রান্ত থেকে লম্বা পালক দুটির দৈর্ঘ্য ২১ থেকে ২৪ সেন্টিমিটার। ওড়ার সময় পালক দুটি বাতাসে অনুপম ভঙ্গিতে আন্দোলিত হতে থাকে। ডালে বসে থাকার সময় বেঁকে থাকে।মেয়ে দুধরাজের লেজের এই বাড়তি পালক দুটো থাকে না বলে এরা পুরুষ দুধরাজের মতো এতটা সুদর্শন নয়। জোড় বেঁধে থাকে। বিভিন্নরকম কীটপতঙ্গ এদের প্রিয় খাবার। উড়ে উড়ে এরা পতঙ্গ শিকার করে। এরা উড়ন্ত পোকামাকড় ধরতে সুনিপুণ। সেগুলোই এদের খাদ্য।
জীবজগতের একটা বিরাট অংশ গোটা পৃথিবী থেকেই খুব দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশের বিপন্ন পশু-পাখির মধ্যে শামুকখোল অন্যতম। শামুকখোলের মত বড় পাখিদের জন্য বেশী খাবার দরকার আর সেই সাথে বাসা বানাবার জন্য চাই বেশ পুরাতন লম্বা গাছ যা বড় পাখিদের কাছে বেশ দুর্লভ হয়ে পড়েছে। এক সময় বাংলাদেশের সব জায়গায় শামুকখোল দেখা যেতো। শুধু শামুক-ঝিনুক খেয়েই বেঁচে থাকতে পারে এরা। শামুকের প্রতি আসক্তির কারণেই বাংলার মানুষ তার নাম দিয়েছিল শামুকভাঙ্গা, শামুকখোর, শামুকখোল কিম্বা শামখোল।
শীতের শুরুতেই আমাদের দেশের বড় বড় নিরাপদ জলাশয়গুলোতে সরালীর পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। বাংলাদেশে সাধারণত দু’ধরণের সরালী দেখা যায়। ছোট সরালী ও বড় সরালী। এদের মধ্যে ছোট সরালীই আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশী দেখা যায়। সরালীকেই আমাদের দেশের বেশীরভাগ লোক অতিথি পাখি হিসেবে ভুল করে। আমাদের মিডিয়াগুলো ফলাওভাবে অথিতি পাখি হিসেবে প্রচার করে। আসলে সরালী অতিথি পাখি নয়। এরা একেবারেই আমাদের দেশীয় পাখি। শীতকালে এরা কলোনি বেঁধে থাকে। একসঙ্গে খাবারের সন্ধানে এরা সন্ধ্যায় বেরিয়ে পড়ে। আবার ভোর হতে না হতেই ফিরে আসে শিস দিতে দিতে। এদের প্রিয় খাবারের তালিকায় থাকে উদ্ভিদের কচি ডগা, ফলমূল, শ্যাওলা, শামুক, ছোট মাছ ও ব্যাঙ। বর্ষাকালে এরা জোড়ায় জোড়ায় থাকে। কারণ এসময় এদের বাসা বানাবার সময়। শীতকালে মিরপুর চিড়িয়াখানা, জাবি ক্যাম্পাস, বঙ্গভবন পুকুর, বিএলআরএ, মুন্সিগঞ্জের ইন্দ্রকপুর, দেশের বিভিন্ন বিল, হাওড়-বাওড়, নদী-নালা, খালে এদের ঝাঁকে ঝাঁকে দল বেঁধে থাকতে দেখা যায়। ছোটখাটো ধরণের এ পাখিটি লম্বায় প্রায় ৪০সেমির মত। সরালীর মত ছোট বাদামী রঙের হাঁস আমাদের দেশে নেই বললেই চলে। লেজের উপরিভাগের পালকগুলো চেস্টনাট, মাথার টুপিটি গাঢ় বাদামী। পা ও ঠোঁট কালো। সরালী ৭-১০টি ডিম পাড়ে। ডিমের রঙ সাদা। তবে ডিমে তা দেওয়ার পর ফ্যাকাসে বাদামি রঙ ধারণ করে। গত ক’বছর ধরে দু’একটি সরালীর জোড়া জাবি ক্যাম্পাসে বাচ্চা ফোটাচ্ছে। শ্বেত বা অ্যালবিনো সরালী দেখা খুবই বিরল একটা ঘটনা।
©2011পাখি কুঞ্জনী | by TNB, Blogger Blog Templates