29.1.10

হাসলি মোরগ

মোঘল আমল থেকে এ অঞ্চলে মোরগ লড়াই চালু হয় বলে জানা যায়। বিশেষ করে সরাইলের দেওয়ানদেরও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মোরগ লড়াই এ অঞ্চলে বিশেষ তাৎপর্য লাভ করে। দুটি মোরগের মধ্যে অনুষ্ঠিত লড়াইয়ের মোরগের নখগুলোকে চোখা তী্ন করা হয়। যতণ না পর্যন্ত একটি মোরগ পরাজিত হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই চলতে থাকে সরাইলের দ্‌েওয়ান মনোয়ার আলী সুদূর ইরান থেকে মতান্তরে রায়বেরিলি থেকে এক প্রকার যুদ্ববাজ মোরগ এদেশে আনয়ান করেন। এ ধরনের মোরগ বা আসলি মোরগ নামে সবাই চেনে। অত্যন্ত দুর্ধর্ষ হিসেবে এদের সুনাম আছে।এ মোরগ গুলো যুদ্বের সময় যে কায়দায় মার দেয় এগুলোর আলাদা নাম আছে। যেমন নিম, করি, বাড়ি, ফাক, ছুট ‌ও কর্ণার। হাসলি মোরগের বৈশিষ্ট হচ্ছে এগুলোর পা লম্বা। পাশাপাশি দেহ, গলা সবই লম্বা প্রকৃতির। এগুলোর দেহে পালক কম থাকে। নখগুলো বিশেষ বৈশিষ্ট মন্ডিত। হাসলি মোরগ যে গুলোয় গলায় পালক থাকে না সেগুলো অত্যন্ত জেদী যোদ্বা থাকে। এগুলো পরাজয় বরণে পিছু হটেনা। শেষ পর্যন্ত যুদ্ব চালিয়ে যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া'তে প্রতি বছর শীতে মোরগ লড়াই অনুষ্টিত হয়ে থাকে। সাধারণত ব্রাহহ্মণবাড়িয়া ‌ও ঢাকার মধ্যে লড়াই অনুষ্টিত হয়। তাছাড়াও সরাইল, সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ইত্যাদি যায়গায় ‌ও লড়াই অনুষ্টিত হয়।
তথ্য সূত্রঃউইকিপিডিয়া

0 comments:

Post a Comment