6.1.10

ময়ুর

ভারতীয় ময়ুরই আমাদের কাছে ময়ুর। অদ্ভুত সুন্দর এ পাখিটির একটি নমুনাও আর এ দেশের প্রকৃতিতে বেঁচে নেই। অথচ ৭০-৮০ বছর আগেও ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর এলাকায় মহানন্দে ঘুরে বেড়াত এরা। বাংলাদেশে সব শেষ ভারতীয় ময়ুর দেখা গেছে আশির দশকের গোড়ার দিকে, ঢাকার শ্রীপুরের শালবনে। চট্টগ্রাম আর পার্বত্য চট্টগ্রামের গহিন অরণ্যে ছিল বর্মি ময়ুরের বাস। সম্ভবত এরাও বিলুপ্ত হয়েছে। ময়ুর ফিজিয়ানিডি পরিবারের পাভো বর্গের অন্তর্ভুক্ত ফিজ্যান্ট-জাতীয় পাখি । সাধারণত বনে বাস করে এবং মাটিতে বাসা বাঁধে।তবে মাঝে মাঝে লোকালয়েও দেখা যায়। বিশেষ করে সংরক্ষিত এলাকায় এরা মানুষের খুব কাছে চলে আসে। এরা সর্বভূক। চারা গাছের অংশ, কীটপতঙ্গ, বীজের খোসা, ফুলের পাপড়ি এবং ছোট ছোট সন্ধিপদ প্রাণি খায়। ডিম ফুটে বাচ্চা দেয়। ছোট বাচ্চাগুলো মুরগির বাচ্চার মতই মায়ের সাথে ঘুরে ঘুরে খাবার খায়। বিপদ দেখলেই মায়ের ডানার নিচে এসে লুকায়। ছোট বাচ্চারা মুরগির বাচ্চার মতই মায়ের পালকের আড়ালে, আবার কখনবা পিঠের উপর লাফিয়ে ওঠে।
সামনেরটা মেয়ে, পিছনেরটা পুরুষ
পুরুষ ময়ূরগুলোর পেখম থাকে, মেয়েগুলোর থাকেনা।স্ত্রী ময়ূরকে আকৃষ্ট করার জন্য পুরুষ ময়ূর পেখম তোলে। এ কারণেই এরা অত্যন্ত আকর্ষণীয়। ময়ূরের ইংরেজী নাম Peafowl তবে পুরুষ ময়ুরগুলোকে peacock বলে আর স্ত্রীগুলোকে peahen বা female peacock বলে। বেশ কয়েক ধরণের ময়ূর দেখা যায়। যেমন_
১. দেশি ময়ূরঃ Indian Peafowl(Pavo cristatus)  
২. সবুজ ময়ুরঃ Green Peafowl (Pavo muticus)
৩. সাদা ময়ূরঃ White Peafowl
৪. বর্মী ময়ূরঃ Burmese Peacock Softshell (Nilssonia formosa)
৫।কাঠ ময়ূরঃ Wooden Peacock (Polyplectron bicalcaratum)
৬। মথুরা বা কালো ময়ূরঃ Black Peafowl (Lophura leucomelanos)

0 comments:

Post a Comment