অ্যালোট্রা গ্রিব
এরা এক প্রকার জলচর পাখি। বিগত ৫০০ বছরে পৃথিবী থেকে ১৯০টিরও বেশি প্রজাতির পাখি চিরতরে হারিয়ে গেছে। বিলুপ্তির হার সম্প্রতি অতীতের তুলনায় অনেক বেশি বেড়েছে। তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন ঘটেছে 'অ্যালোট্রা গ্রিব' নামের এক ধরনের জলচর পাখির। ২০০৫ সালের পর এই প্রথম কোনো পাখির নিশ্চিত বিলুপ্তির কথা জানাল প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদের আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন (আইইউসিএন)। দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দ্বীপরাষ্ট্র মাদাগাস্কার অ্যালোট্রা হ্রদ ছিল এ প্রজাতির পাখির প্রধান আবাসস্থল।
অ্যালোট্রা গ্রিব পাখি ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বরে অ্যালোট্রা হ্রদে শেষবারের মতো দেখা যায়। এর আগে ১৯৮২ সালে ১২টি পাখি দেখা গিয়েছিল। পরে ১৯৮৫, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে 'গ্রিব' প্রজাতির মতো কিছু পাখি দেখা গেলেও সেগুলোকে সংকর প্রজাতির বলে ধারণা করা হয়। এরপর ১৯৯৯ সালের জরিপে এবং ২০০০ সালে বিশেষজ্ঞরা পরিদর্শন করে কোথাও এ পাখির চিহ্ন খুঁেজ পাননি। এ প্রজাতির পাখির ওপর সরাসরি কোনো নজরদারি না থাকায় এত দিন পর আশা করা হয়েছিল হয়তো কোথাও না কোথাও দু-একটা অ্যালোট্রা পাখির অস্তিত্ব থাকতেও পারে। কিন্তু কোথাও এর চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মূলত বেশ কয়েকটি কারণে এ প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটে। আফ্রিকার ঈষৎ নোনা পানির অ্যালোট্রা হ্রদের বেলাভূমি ছিল প্যাপিরাস ও নলখাগড়ায় ঢাকা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মৎস্যজীবীরা এ হ্রদের বেশির ভাগ এলাকায় নাইলন সুতার সূক্ষ্ম জাল বিছিয়ে রাখে। এসব জাল এ পাখির মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়। এ জাতীয় জাল ব্যবহার করার প্রথম পর্যায় থেকেই প্রচুর পরিমাণ অ্যালোট্রা পাখি মরতে শুরু করে। আরেকটি কারণ হিসেবে 'বাশ' নামের এক ধরনের মাংসাশী মাছের ভূমিকার কথা বলা হয়েছে। অ্যালোট্রা হ্রদে এ মাছের আবির্ভাবের পর থেকে অ্যালোট্রা পাখির বিস্তার বাধার মুখে পড়ে। এ পাখির শাবক ছিল এ 'বাশ' মাছের অন্যতম প্রধান শিকার। অন্যদিকে বিভিন্ন কারণে অ্যালোট্রা পাখির খাদ্যভাণ্ডারেও বিশেষ সংকট দেখা দিয়েছিল।
১৬০০ সালের পর এ পর্যন্ত ১৩২টি পাখি প্রজাতি বিলুপ্তির কফিনে ঢুকে পড়েছে। বিশ্বের প্রতি আটটি প্রজাতির মধ্যে একটি প্রজাতি এখন বিলুপ্তির হুমকির মুখে। এ বছর আরো ২৫টি প্রজাতিকে বিপন্নের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে বিপন্ন পাখি প্রজাতির মোট সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ২৪০-এ।
বার্ড লাইফ ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা ড. লিওন বেনান বলেন, অ্যালোট্রা পাখির অস্তিত্ব নিয়ে আর কোনো আশা অবশিষ্ট নেই। এর বিলুপ্তি মানুষের আগ্রাসী কর্মের আরো একটি নিষ্ঠুর উদাহরণ।
Read More
অ্যালোট্রা গ্রিব পাখি ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বরে অ্যালোট্রা হ্রদে শেষবারের মতো দেখা যায়। এর আগে ১৯৮২ সালে ১২টি পাখি দেখা গিয়েছিল। পরে ১৯৮৫, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে 'গ্রিব' প্রজাতির মতো কিছু পাখি দেখা গেলেও সেগুলোকে সংকর প্রজাতির বলে ধারণা করা হয়। এরপর ১৯৯৯ সালের জরিপে এবং ২০০০ সালে বিশেষজ্ঞরা পরিদর্শন করে কোথাও এ পাখির চিহ্ন খুঁেজ পাননি। এ প্রজাতির পাখির ওপর সরাসরি কোনো নজরদারি না থাকায় এত দিন পর আশা করা হয়েছিল হয়তো কোথাও না কোথাও দু-একটা অ্যালোট্রা পাখির অস্তিত্ব থাকতেও পারে। কিন্তু কোথাও এর চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মূলত বেশ কয়েকটি কারণে এ প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটে। আফ্রিকার ঈষৎ নোনা পানির অ্যালোট্রা হ্রদের বেলাভূমি ছিল প্যাপিরাস ও নলখাগড়ায় ঢাকা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মৎস্যজীবীরা এ হ্রদের বেশির ভাগ এলাকায় নাইলন সুতার সূক্ষ্ম জাল বিছিয়ে রাখে। এসব জাল এ পাখির মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়। এ জাতীয় জাল ব্যবহার করার প্রথম পর্যায় থেকেই প্রচুর পরিমাণ অ্যালোট্রা পাখি মরতে শুরু করে। আরেকটি কারণ হিসেবে 'বাশ' নামের এক ধরনের মাংসাশী মাছের ভূমিকার কথা বলা হয়েছে। অ্যালোট্রা হ্রদে এ মাছের আবির্ভাবের পর থেকে অ্যালোট্রা পাখির বিস্তার বাধার মুখে পড়ে। এ পাখির শাবক ছিল এ 'বাশ' মাছের অন্যতম প্রধান শিকার। অন্যদিকে বিভিন্ন কারণে অ্যালোট্রা পাখির খাদ্যভাণ্ডারেও বিশেষ সংকট দেখা দিয়েছিল।
১৬০০ সালের পর এ পর্যন্ত ১৩২টি পাখি প্রজাতি বিলুপ্তির কফিনে ঢুকে পড়েছে। বিশ্বের প্রতি আটটি প্রজাতির মধ্যে একটি প্রজাতি এখন বিলুপ্তির হুমকির মুখে। এ বছর আরো ২৫টি প্রজাতিকে বিপন্নের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে বিপন্ন পাখি প্রজাতির মোট সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ২৪০-এ।
বার্ড লাইফ ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা ড. লিওন বেনান বলেন, অ্যালোট্রা পাখির অস্তিত্ব নিয়ে আর কোনো আশা অবশিষ্ট নেই। এর বিলুপ্তি মানুষের আগ্রাসী কর্মের আরো একটি নিষ্ঠুর উদাহরণ।



_on_nesting_box.jpg)














