17.5.10

লাভ বার্ড

এই পাখিদের মধ্যে ভালোবাসার প্রকাশ এত বেশী যে এদের নামই হয়ে গেছে 'Lovebird'. পৃথিবীতে মোট ৯ প্রজাতির লাভবার্ড বুনো অবস্থায় পাওয়া যায়। এদের মধ্য ৮ প্রজাতিই আফ্রিকায় থাকে। তবে বর্তমানে সমগ্র পৃথিবীতে লাভবার্ড বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও বিক্রি করা হয়।
আফ্রিকার অরণ্যে রেকর্ডকৃত যে ৯টি প্রজাতির লাভ বার্ডের সন্ধান পাওয়া যায়, তার মধ্যে আমাদের দেশে পাওয়া যায় মাত্র ২টি প্রজাতি। যথা :
১. ফিশার্স লাভ বার্ড ও ব্ল্যাক মাস্ক লাভ বার্ড (রিং গ্রুপ)
এবং
২. পিচেফস্ড লাভ বার্ড (নন-রিং গ্রুপ)।
এর মধ্যে ফিশার্স লাভ বার্ডের প্রধান আকর্ষণ হলো, তার চোখের চারপাশ ঘিরে সাদা মোটা রিং দিয়ে ঘেরা, সেজন্য এই পাখিকে রিং গ্রুপ বলে চিহ্নিত করা হয়। এটি দেখতে অনেকটা টিয়া পাখির মতো হলেও লেজ বেশি লম্বা হয় না।
আর অন্যদিকে পিচফেস্ড লাভ বার্ডের কপালসহ দুই গাল ও গলা পর্যন্ত পিচ্ফলের মতো লাল বর্ণের হয় বলে এই প্রজাতিকে পিচেফস্ড লাভ বার্ড বলে। এর ঠোঁটের রং ফিকে গোলাপি এবং পা ধূসর রংয়ের হয়। উপরোক্ত বৈশিষ্ট্য ঠিক রেখে পাশ্চাত্যের বিভিন্ন প্রজননকারী উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে বের করেছেন ৫০০-এর অধিক রং বা নতুন মিউটেশন। আমাদের দেশেই প্রায় ৫০ রংয়ের পাওয়া যায়।
খাদ্যাভ্যাস : লাভ বার্ড(Love Bird) পাখির সব খাবার উপকরণ আমাদের দেশের প্রায় হাটে-বাজারেই পাওয়া যায়। যেমন—চীনা, ধান, সূর্যমুখী ফুলের বীজ, কুসুম ফুলের বীজ ও গম। এর পাশাপাশি কিছু সবুজ শাকসবজি যখন যা পাওয়া যায় (পালং শাক, কলমি শাক, গাজর, বরবটি) ও নরম খাবার যেমন—ভেজা পাউরুটি, ভেজা ছোলা ও সেদ্ধ বা কচি ভুট্টা দিতে হয়, বিশেষ করে বাচ্চা ফোটার পরপর।
খাবার তৈরি করতে যে পরিমাণ উপাদান মিশিয়ে খাদ্য মিশ্রণ তৈরি করা যায় তা এ রূপ—
১. চীনা — ৪ কেজি
২. ধান — ৫০০ গ্রাম
৩. সূর্যমুখী ফুলের বীজ — ৩০০ গ্রাম
৪. কুসুম ফুলের বীজ — ১৫০ গ্রাম
৫. গম/বাজরা — ২০০ গ্রাম

1 comments:

Moushumi said...

আমার লাভ বার্ড খুব ভালো লাগে

November 6, 2010 at 3:07 AM

Post a Comment