17.5.10
ককাটেল
ককাটিয়েল(Cockatiel) আমাদের দেশে এটি ককাটেল নামেই পরিচিত। ককাটেলও বাজরিগারের মতো প্যারাকিট প্রজাতির পাখি। শারীরিক গঠন লম্বাটে ও লেজ টিয়া পাখির মতো লম্বা হলেও এরা কখনোই সবুজ রংয়ের ছিল না বা এখন পর্যন্ত কোনো মিউটেশন হয়নি। এর আদি নিবাস প্রধানত অস্ট্রেলিয়ার উপকূল অঞ্চল। ককাটেল পাখি অরণ্যে শুধু ধূসর রংয়ের হয়ে থাকে। ককাটেল পাখির প্রধান আকর্ষণ হলো তার মাথার ওপর ঝুঁটি এবং দুই গালে লাল ফোঁটা এই পাখির সৌন্দর্য আরও এক ধাপ বৃদ্ধি করেছে। এই ঝুঁটি থাকার কারণেই এই পাখিকে কেউ কেউ ছোট কাকাতুয়াও বলে থাকে। এর বাহারি মিউটেশন ক্রমেই বাড়তে থাকে যেমন—পার্ল, পাইড ফন, হলুদ, প্রিমরোজ ও সবশেষে আসে গালের লাল ফোঁটা ছাড়া হোয়াইট ফেস্ ককাটেলের অপূর্ব বেশকিছু মিউটেশন।
খাদ্যাভ্যাস : এর খাবারের তালিকা ও খাদ্য মিশ্রণ উপাদান অনেকটা লাভ বার্ড পাখির মতো।এছাড়াও যেসব পাখি আমাদের দৃষ্টি কাড়ে তার মধ্যে অন্যতম স্পেনজেল, যাদের পিঠের পালকের শেষের অংশ কালো, অরিজিনাল ড্যানিস (সাদা, আকাশি রংয়ের সঙ্গে কালোর অল্প মিশ্রণ), ড্যানিস পাইড (হলুদ-সবুজের সঙ্গে কালোর অল্প মিশ্রণ), ইংলিশ, বাংলিশ, ফিনসসহ ৪০ জাতের পাওয়া যায়। এর মধ্যে গোল্ডেন ফিনস, লংটেল ফিনস, জেব্রা ফিনস অন্যতম। গোল্ডেন ফিনস তিন ধরনের দেখা যায়—রেড হেড, ব্ল্যাক হেড ও ইয়েলো হেড। ৭-১০ রকমের রংয়ের মিশ্রণ থাকে রেড হেড ফিনসে। লংটেল ফিনস অন্য সব ফিনস থেকে ভিন্ন হয় তার বড় লেজের কারণে। এর ঠোঁট লাল-কমলা রংয়ের হয়। ৩-৪ রকমের রংয়ের মিশ্রণ এর শরীরে এবং এর চোখ কাজল দেয়ার মতো। চতুর পাখি হিসেবে এটি পরিচিত তার প্রতিনিয়ত দুরন্তপনায়।
0 comments:
Post a Comment