19.10.13

কলা বাদুড়

শিয়ালের মত মুখের আকৃতি তাই এর ইংরেজি নাম Flaying Fox। আমাদের বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই এদের দেখা যায়। গাছে ফল এলেই এদের আনাগোনা লেগেই থাকে গ্রামাঞ্চলের ফল গাছগুলোতে। সারা বছর কলাগাছে কলা থাকে ফলে এরা সেই গাছে কলা খেতে বেশি আসে তাই হয়তো এদের নাম কলা বাদুড়।

কলাবাদুড় স্তন্যপায়ী প্রাণী। গায়ের রং লালচে হলুদ লোমে আবৃত। হাতের বর্ধিত চামড়া পাখির পাখার-মত বাদুড়কে উড়তে সাহায্য করে। বাদুড়ের পা থাকলেও এরা কখনই দাড়াতে পারেনা বরং পায়ের সাহায্যে উল্টো ঝুলে থাকে। এদের নখ বড়। কলা বাদুড় ফলভুক, বিভিন্ন ঋতুতে এরা নানান রকম ফল খেয়ে বাচে।

কলা বাদুড় নিশাচর প্রাণী। দিনের বেলা ছায়া-যুক্ত গাছে দলবেঁধে ঝুলে থাকে। সন্ধ্যা হলেই খাবারের সন্ধানে বেড়িয়ে পরে।কলা-বাদুড় সামাজিক জীবন ধারণ করে। এরা কলোনিতে থাকে। কলা-বাদুড় জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে মিলিত হয় এবং ফ্রবুয়ারি থেকে মে মাসে বাচ্চা প্রসব করে। ১৪০ থেকে ১৫০ দিন গর্ভ ধারণের পর ১ থেকে ২ টি বাচ্চা হয়।

কলা-বাদুড় বাংলাদেশের অন্য সব প্রাণীর-মত ঝুঁকির মুখে। আবাস ধ্বংস ও অপর্যাপ্ত খাবারের অভাবে এরা দিন দিন বিপন্ন। তার উপর ফল গাছে জালের বেড়ায় জড়িয়ে প্রায়ই এরা মারা পরে।
বিভিন্ন লোকজ চিকিৎসা ও এর মাংসের চাহিদার কারণেও কলা-বাদুড়ের অবাধে শিকার হচ্ছে।

লেখা ও ছবি --- ঋজু আজম

0 comments:

Post a Comment