3.11.12
কালি বক
‘কালিবক’এর ইংরেজি নাম Black Bittern। বৈজ্ঞানিক নাম Dupetor flavicollis। মাপ ৫৮ সেন্টিমিটার। বুদ্ধিমান-চতুর ও তুখোড় মাছ-ব্যাঙ শিকারি একধরনের বক এটা।
টানটান শরীরে দাঁড়িয়ে ঘাড়-মাথা-ঠোঁট সরাসরি আকাশমুখো করে দাড়িয়ে খাকা এদের স্বভাব। এ রকম অভ্যাস আছে_‘খয়রা বক’ (Purple Heron)-এর। নলঘোঙা
পাখিরও স্বভাব এমন। এমনকি ‘হলদি বক’রাও (Yellow Bittern) এভাবে দাঁড়িয়ে
থাকে বিপদের গন্ধ পেলে।
কালিবক সাধারণত ঊষা ও গোধূলি বেলায় শিকার করতে বের হয়। তবে ফুটফুটে জোছনা রাতেও এই
পাখিটিকে চরে বেড়াতে দেখা যায়। মাছ-ব্যাঙ-ছোট জলসাপ বা পোকা-পতঙ্গ খেয়ে এরা জীবন ধারণ করে। ঘাসফড়িং এদের অতি প্রিয়
খাদ্য।
কানিবকের মতো এদেরও রয়েছে মানুষের চোখের ভেতরে ঠোকর দেওয়ার প্রবণতা।
মাথার তালু এদের চকচকে স্লেট রঙের। এই রংটি ঘাড়-গলার উপরিভাগ হয়ে সারা
পিঠে ছড়িয়ে গেছে কালো রং হয়ে। গলার তলা দিয়ে কমলাটে-নীল চওড়া একটা রেখা
ঘাড়ের পাশ দিয়ে বুক অবধি নেমে এসেছে। বুকে খাড়া খাড়া কালচে টান। ঠোঁট লালছে
ধূসর। পা ও পায়ের পাতা ঘন বাদামি। সব মিলিয়ে সুন্দর ও দুর্লভ দর্শন এক বক
এটি। মানুষ তো এদের শত্রু বটেই, উত্তরের হাওরে এককালে এদের শত্রু ছিল
কালোমেঠো ইঁদুর, ভোঁদড় ও চন্দ্রবোড়া সাপ।
শরীফ খান | প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment