11.4.12

কালা কোকিল

পৃথিবীব্যাপী কোকিলের প্রায় ১৩০ টি প্রজাতি আছে, এর মধ্যে বাংলাদেশে ২০ ধরণের কোকিল দেখতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৬ জাতের কোকিল অন্য পাখির বাসায় ডিম পাড়ে। বাকি দুইটি প্রজাতি নিজেরাই বাসা বানায়। এরা হচ্ছে সবুজ ঠোঁট মালকোয়া ও মেটে মালকোয়া। আমাদের দেশে সচরাচর যে কোকিল দেখা যায় তার নাম কালা কোকিল। কাছ থেকে পুরুষ কোকিলের শরীর উজ্জ্বল কালোর উপর নীলাভ-সবুজের প্রলেপ মনে হয়। চোখ লাল টকটকে। ঠোঁট হালকা হলুদ। স্ত্রী কোকিল পুরুষ কোকিলের থেকে একেবারেই আলাদা। স্ত্রী কোকিল বাদামী রংয়ের এবং তার উপর সাদা ফোঁটা ও দাগ রয়েছে। ঠোঁট আপেল-সবুজ। এশীয় কোকিলের ইংরেজি নাম Asian Cuckoo এবং বৈজ্ঞানিক নাম Eudynamys scolopaceus. গঠন মাঝারি আকারের। এদের দৈর্ঘ্য ৪৩ সেন্টিমিটার, ওজন প্রায় ১৭০ গ্রাম। ডানা ২২ সেন্টিমিটার, ঠোঁট ৩.৩ সেন্টিমিটার, পা ৩.৫ সেন্টিমিটার এবং লেজ ২০ সেন্টিমিটার লম্বা।
স্ত্রী কোকিলের দেহে থাকে সাদা ও পীতাভ চিতি (বাঁয়ে); পুরুষ কোকিলের শরীর চকচকে কালো। সঙ্গে থাকে নীল ও সবুজের মিশেল। ছবি : কালের কণ্ঠ
এশীয় কোকিল বেশ চুপিসারে থাকে। ফলদ গাছ যেমন- ডুমুর ও অন্য রসালো ফল খায়। কখনো শুঁয়োপোকা ও ছোট পাখির ডিম খায়। বন উজাড়, খাদ্য সংকট, পরিবেশ দূষণ নানা কারণে কোকিলের বংশবিস্তার এখন কিছুটা কমে আসছে।

0 comments:

Post a Comment