14.10.10
আইবিস পাখি
প্রাচীনকালে মিসরীয়রা আইবিসকে অনেক 'পবিত্র' পাখি হিসেবে মেনে থাকত। তাদের দৈনন্দিন জীবনে 'পবিত্র আইবিসফিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা যেসব প্রাণীকে দেবতার প্রতীক হিসেবে গণ্য করত, তাদের মধ্যে আইবিসফিল বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবতা। প্যাপিরাসের তৈরি কাগজে আঁকা এক ছবিতে আছে- পরলোকের অনুষ্ঠানে দেবতা আইবিস পাখির মাথাসহ এক রুগ্ন ব্যক্তির হৃৎপিণ্ড ওজন করছে। মন্দিরে জীবন্ত আইবিস পাখি রাখা হতো এবং মৃত্যুর পর এগুলোকে মমি বানানো হতো। দুর্ভাগ্যবশত মিসরীয় সংস্কৃতিতে আইবিসের গুরুত্ব সত্ত্বেও উনিশ শতকের মাঝামাঝি ওই দেশেই পাখিটির বিলুপ্তি ঘটে। যদিও অন্য দেশে আজো বেঁচে আছে। দক্ষিণ আমেরিকা ছাড়া আইবিস সর্বত্র দেখা যায়। এরা সুনবিল পাখির জ্ঞাতি এবং একই বর্গভুক্ত। বিশ্বে এ প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ২৫ ধরনের এবং বাংলাদেশে প্রায় ৩ ধরনের। আইবিস মূলত পরপড়হরভড়ৎসবং বর্গের ঞযৎবংশরড়ৎহরঃযরফধপ গোত্রের পানিতে হাঁটা বকসদৃশ পাখি। এদের পা ও গলা লম্বা এবং ঠোঁট কাস্তের মতো নিচের দিকে বাঁকানো। জলাভূমির এ পাখি লম্বা পা ফেলে ঘুরে ঘুরে ছোট মাছ ও শামুক খায়। গলা ও পা ছড়িয়ে এবং ডানা ঝাপটে এরা উড়ে বেড়ায়। প্রজননকালে প্রায় দলবদ্ধ হয়ে নিচু ঝোপঝাড় বা গাছের ডালপালা দিয়ে বাসা বাঁধে। প্রতি বাসায় ডিমের সংখ্যা ৩ থেকে ৫টি।-শামীম রহমান রিজভী
1 comments:
দয়া করে "পরপড়হরভড়ৎসবং বর্গের ঞযৎবংশরড়ৎহরঃযরফধপ গোত্রের" লেখাটি ঠিক করে দেবেন.
July 9, 2018 at 7:08 AMPost a Comment