26.12.09

পেঙ্গুইন


পাখি, তবে উড়তে পারে না। অবশ্য প্রকৃতি তাদের এ অক্ষমতা পুষিয়ে দিয়েছে ভিন্নভাবে। ওরা দক্ষ সাঁতারু --তাড়া করে মাছ ধরে । হাঁটতে অপটু, তবে উবুড় হয়ে শুয়ে দুই হাতডানা নেড়েচেড়ে বরফের উপর দিয়ে এগিয়ে যায় । বুক পেট ধবধবে সাদা,বাকি শরীর কালো বা নীলচে। যারা পেঙ্গুইন(Penguin/Pygoscelis papua) নামে পরিচিত।দেখে মনে হয় সাদা দেহে কালো কোট পরা এক ভদ্রলোক। মূলত শীতপ্রধান দেশেই পেঙ্গুইনরা বাস করে। এদের বাস দক্ষিণ মেরুবলয়ের আশেপাশে। সবচেয়ে ছোট প্রজাতির পেঙ্গুইন(Pygoscelis antarctica) বাস করে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডে। এরা সবাই দিবাচর আর সমুদ্রবাসী। দাঁড়ানো অবস্থায় এদের উচ্চতা চার ফুট আর ওজন হয় ৪০ কেজির কাছাকাছি।পেঙ্গুইনরা জীবনের বেশিরভাগ সময় পানিতে কাটায়। ওদের শরীর ভারি হাড় দিয়ে গঠিত হওয়ায় ডাঙ্গার চেয়ে পানিতেই ওরা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তবে মাটির ওপর যখন পেঙ্গুইনরা হেঁটে বেড়ায়, তখন অনেক দূর থেকে ওদের দেখা যায়। শরীরের সাদা আর কালো রঙ তখন দারুণভাবে ফুটে ওঠে।

তবে পানিতে নামলে এ রঙ অস্পষ্ট দেখায়। পানির ওপর থেকে তাকালে পেঙ্গুইনের কালো রঙ পানির আলো-আঁধারের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যায়। ফলে পানির ভেতর পেঙ্গুইনরা মোটামুটি অদৃশ্য প্রাণী। বরফের ওপর চলাচলের সময় ওরা মাঝেমধ্যে পেটের ওপর ভর দিয়ে পিছলে নেমে যায়। এ সময় ওরা পেছনের পা দুটিকে বৈঠার মতো ব্যবহার করে। স্বভাবের দিক থেকে পেঙ্গুইন খুবই সামাজিক প্রাণী। এরা দলবদ্ধ হয়ে ঘুরে বেড়ায়। ডিম ও শিশু প্রতিপালনের মৌসুমে হাজার হাজার পেঙ্গুইন একসঙ্গে থাকে। ওদের পারিবারিক আচরণও বেশ আন্তরিক। ডিম দেওয়া থেকে শুরু করে বাচ্চা লালন-পালন কাজে পুরুষ আর স্ত্রী পেঙ্গুইন সমানভাবে অংশগ্রহণ করে। পায়ের উপর ডিম রেখে ডিমে তা দেয়। উপযুক্ত বাসস্থানের অভাব, নানা ধরনের দূষণে এ প্রাণীদের অস্তিত্ব হুমকির মুখোমুখি। আমাদের সবার ভালোবাসাই পারে এই সুন্দর পাখির প্রজাতিটিকে রক্ষা করতে।

নানা জাত-উপজাত আর পরিবারের উপর ভিত্তি করে ২২ প্রজাতির পেঙ্গুইন(Penguin) দেখা যায়।
বিস্তারিত:Wikipedia

0 comments:

Post a Comment