4.12.09

রাজ হাঁস


রাজ হাঁস এক জাতীয় হাঁস। বিশাল আকৃতি এবং মাথায় হালকা মুকুট ধরনের থাকে। এরা আকারে যেমন বড় এদের গলা ও বেশ বড়। এরা সাধারন হাঁসের মত শব্দ করেনা, মানুষকে তাড়া করতে দেখা যায় ও দল বেধে চলা ফেরা করে।



রাজহাঁসের বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। তার মধ্যে নিম্ন লিখিত প্রজাতিগুলো সাধারণত দেখা যায়।

(১) টুলুজ- ভারি প্রজাতির পাখি। ফরাসী দেশের পাখি। ভারি পাখিদের মধ্যে এরাই বেশি ডিম দেয়।তবে সব টুলুজ পাখি ডিমে তা দেয় না। ঠোঁট , পা কমলা রঙের। গলা, পেট এবং লেজ সাদা। পুরুষের ওজন- ১৪ কেজি, স্ত্রী- ৯ কেজি।


তবে কালো রঙেরও দেখা যায়।আবার সাদা কালো মেশানোও দেখা যায়।


(২) এমডেন(Embden Goose): জামর্নির হ্যানোভারে এই পাখি বেশি দেখতে পাওয়া যায়। ভারি জাতের পাখি। ডিমের সংখ্যা ভালো। অন্য প্রজাতির রাজহাঁস থেকে বেশ ঠান্ডা। ঠোঁট জ্বলজ্বলে কমলা রঙের। পায়ে ধবধবে সাদা পালকে ভরা। পুরুষের ওজন ১৪ কেজি, স্ত্রী ৯ কেজি।


 (৩) চিনা{Chinese Goose (Anser cygnoides)}: চিনদেশের রাজহাঁস। তবে চীন ছাড়াও রাশিয়া, জাপান, কোরিয়া, সাইবেরিয়া, তাজিকিস্থান, উজবেকিস্থান, তাইওয়ান, থাইল্যান্ডেও দেখা যায়। টুলুজ এবং এমডেন ছাড়া আকারে ছোট। সংখ্যায় বেশি ডিম দেয়। বছরে ৬০ টির মত। ডিমে তা দিতে অভ্যস্ত। দুটি রংয়ের চিনা রাজহাঁস দেখা যায়। খয়েরি এবং সাদা।খয়েরি রঙা চিনা রাজহাঁসের পা কমলা। ঠোঁট, পালকের রঙও খয়েরি। সাদা রঙের রাজহাঁসের ঠোঁট এবং পা উজ্জ্বল কমলা রঙের। গায়ের পালক ধবধবে সাদা।
ওপরের ঠোঁটের গোড়ার চামড়া ফুলের মতো গোল হয়ে থাকে। পুরুষের ওজন ৯ কেজি, নারীর ওজন ৮ কেজি। পাহারাদার হিসেবে চিনা রাজহাঁসের সুখ্যাতি আছে।
এছাড়া আরো কিছু প্রজাতির রাজহাঁস আছে। যেমন আফ্রিকান। অনুমান করা হয় এরা আদিতে ভারতীয়। কেউ বা বলেন চিনা এবং টুলুজের মধ্যে প্রজননের ফলে এদের সৃষ্টি হয়েছিল।

খয়েরি রঙা চিনা রাজহাঁস

সাদা রঙা চিনা রাজহাঁস
(৪) বার্নাস্ল রাজহাঁস{Barnacle Goose(Branta leucopsis)}: এদের মাথা, বুকের পালক সাদা ও পিঠের  পালক সাদা ও কালোতে মেশানো।



(৫) বন্য রাজহাঁস{Canada Goose (Branta canadensis)}: এদেরকে কানাডিয়ান রাজহাঁসও বলে।প্রধানত দক্ষিন আমেরিকাতে দেখা যায়। এর ঠোট, মাথা, গলা, লেজের পালক কালো; শরীরের পালক ধূসর রঙের আর চোয়ালে সাদা পালক ক্রিসেন্ট রুপে।
 


এছাড়াও আরো জাত রয়েছে। যেমন


0 comments:

Post a Comment