24.12.09

লক্ষ্মী পেঁচা

হরতনের মতো অদ্ভুদ গোল চাকতি মুখ। তার মধ্যে বেশ বড় বড় দুটি চোখ। ঠোঁট লম্বাটে। নাকের ছিদ্র ডিম্বাকার। শরীরের উপরের পালক হলদেটে-লাল ও ধূসর, তার উপর সর্বত্র কালো-সাদা ছিট। ঘাড় ও ডানা হলদে-পাটকিলে। ঠোঁটের রঙ মাংসল সাদা। পা ও আঙুল মাংসল। স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম। ওড়ার সময় শরীরের নিচের সাদা পালক দেখা যায়।
ছোট পাখি, ইঁদুর, টিকটিকি-গিরগিটি, চামচিকে, ব্যাঙ ইত্যাদি প্রধান খাদ্য। তবে সাপের মাংসতেও কোন অরুচি নেই। সবচেয়ে প্রিয় ইঁদুর, এই জন্য এই লক্ষ্মী পেঁচাকে চাষীরা বন্ধু ভাবে।সাধারণত রাতেই সে খাদ্যের সন্ধানে ঘুরে বেড়ায়। তবে দিনের বেলাতেও তাকে শিকার করতে দেখা গেছে।
লক্ষ্মী পেঁচা...  Barn Owl !!
গাছের কোটরে বাসা বানায়। সন্ধ্যার পর থেকে চিৎকার চেঁচামেচিতে চারপাশ সন্ত্রস্ত করে তোলে। ক্ষেতের মধ্যে বসার উপযোগী ডাল, বাঁশ বসিয়ে দিলে একটা লক্ষ্মী পেঁচা এক রাতে বার তেরোটা ইঁদুরকে সাবাড় করতে পারে।
এর ইংরেজী প্রতিশব্দ Barn Owl আর বৈজ্ঞানিক নাম Tyto alba.
এর রয়েছে অনেক নাম অল্প কিছু নাম হল সাদা পেঁচা বা White Owl, রুপালী পেঁচা বা Silver Owl, পিশাচ পেঁচা বা Demon Owl, ভূত পেঁচা বা Ghost Owl, মৃত্যু পেঁচা বা Death Owl, রাতের পেঁচা বা Night Owl, ইঁদুর পেঁচা বা Rat Owl, গীর্জার পেঁচা বা Church Owl, গুহার পেঁচা বা Cave Owl, পাথরের পেঁচা বা Stone Owl, বানরমুখো পেঁচা বা Monkey-faced Owl, হিসহিস পেঁচা বা Hissing Owl, শখের পেঁচা বা Hobgoblin or Hobby Owl, ডুবি পেঁচা বা Dobby Owl, সাদা বুকের পেঁচা বা White-breasted Owl, সোনালী পেঁচা বা Golden Owl, ক্রোধের পেঁচা বা Scritch Owl, Screech Owl, Straw Owl, Barnyard Owl and Delicate Owl. ইত্যাদি ইত্যাদি......

0 comments:

Post a Comment